সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ এলাকাই বিস্তীর্ণ জলাভূমি। বছরে অন্তত ৬ মাস পানিতে ডুবে থাকে বেশিরভাগ ফসলি জমি। জলাবদ্ধ এসব জমিতে পানি ফলের চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন এখানকার চাষিরা। একইসাথে মিঠাপানির মাছের ঘেরেও চাষ হচ্ছে পানিফল।
এক দশক আগে দেবহাটা উপজেলায় শুরু হয় পানিফলের চাষ। প্রথম চাষেই সফলতা এলে ক্রমেই বাড়তে থাকে পরিধি।
চাষিদের একজন বলেন, ‘এই ফলটা চাষ করা পরে নতুন যে চাষ করা হবে তাতে কোনো সারের প্রয়োজন পড়বে না।’
শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘সকাল ৬ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত কাজ করি। আমাদের দৈনিক মজুরি ৩৫০ টাকা।’
প্রতিদিন সকালে জমি থেকে পানিফল সংগ্রহ করেন চাষিরা। এরপর সেগুলো নেয়া হয় সড়কের পাশে। সেখান থেকে পাইকারদের হাত ধরে এসব ফল চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। চাষিরা বলছেন, এই ফল চাষের পর জমি শুকিয়ে গেলে একই জায়গায় অন্য ফসল চাষ করে বাড়তি লাভ করতে পারেন তারা।
চাষিদের একজন বলেন, ‘ফলন খুব ভালো। একটা লাভজনক ব্যবসা। চাহিদা প্রচুর রয়েছে।’
কৃষি বিভাগ বলছে, পানি ফলের চাষ বাড়লে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সহজে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
, উপ-পরিচালক, সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে এই ফসল উত্তোলন করে তারা বেশ লাভবান হচ্ছে। পরে বোরো ধান রোপণ করলে সেটার ফলনও ভালো হচ্ছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গেল অর্থবছরে জেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত পানিফল থেকে বাণিজ্য হয় ৪৩ কোটি টাকার।