নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্র সংস্কারে গুরুত্ব দেয়। গঠন করা হয় কমিশন।
তবে দীর্ঘ সাড়ে পনেরো বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মধ্যে সংস্কার নিয়ে নানা মত দেখা যাচ্ছে।
গণঅভ্যুত্থানের প্রধান শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের সাথেও শুরু হয় দেশের বড় রাজনৈতিক দলটির মতানৈক্য।
নতুন করে আবারও সেই বিতন্ডা সামনে চলে আসে বঙ্গভবনে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানোকে কেন্দ্র করে। বিতর্কের মুখে ছবি সরিয়ে দেয়া হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এর সমালোচনা করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'খন্দকার মুশতাক রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়েছিলেন। তবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই ছবি পুনরায় স্থাপন করেছিলেন।'
পরে বিবৃতি দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন রুহুল কবির রিজভী। জানান, অফিস-আদালত সর্বত্র দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলাদা অনুষ্ঠানে নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারক জানান, ভোটের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে। অনির্বাচিত সরকার দ্বারা সংস্কারের সুযোগ সীমিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'জনমতের পরিপ্রেক্ষিতে আপনি সংস্কার করবেন। সেটা একমাত্র সম্ভব একটা নির্বাচিত সরকারের পক্ষে। অনির্বাচিত কোনো সরকার নিজের চিন্তাবাবনায়, নিজের ধারণায়, নিজের দর্শনে কোনো সংস্কার সেভাবে করার সুযোগ নেই। ভোটের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে।'
দলটির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলছেন দ্রুত নির্বাচন না হলে জন্য এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে জনগণ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আপনি গণতন্ত্রের কথা বলবেন আর নতুন নতুন বয়ান সৃষ্টি তৈরি করে জনগণের ক্ষমতা আপনি সীমিত করবেন বা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করবেন কিংবা জনগণকে বাইরে রেখে সিদ্ধান্ত দেয়ার চেষ্টা করবেন সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না বাংলাদেশের মানুষের কাছে।'
অন্তর্বর্তী সরকার, সংস্কার ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিক সকল সমালোচনাকে পাশে রেখে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠনের দিকেই মনোযোগ বিএনপির।