আজ (শনিবার, ২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা কলেজ ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির কথা জানান কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি সাত কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।
প্রেস সচিবের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া বারি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের মূল দাবি থেকে সরে আসব না। সাত কলেজের সমন্বয়ে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি, সেটি আমাদের থাকবেই।’।
সংবাদ সম্মেলনে দ্রুত সময়ে মধ্যে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
শিক্ষার্থী জাকারিয়া বারি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় সাত কলেজের বিষয়ে যে কমিটি করেছে, সে কমিটি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। দ্রুত সময়ে মধ্যে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর কমিশন গঠন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাত কলেজ নিয়ে যেকোনো ধরনের চক্রান্ত প্রতিরোধ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের অবিবেচক বক্তব্য প্রত্যাহার, কমিটি বাতিল, কমিশন গঠন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করার দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
আগামী রবিবার ও সোমবার সাত কলেজের অভ্যন্তরীণ সকল ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে জানিয়ে এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবে না। একইসঙ্গে সাত কলেজের সবগুলো ক্যাম্পাসে দাবির পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে এসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। দাবি আদায় না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেব।’