সরকারিভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাল সংগ্রহ হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। কিন্তু সাইলো না থাকা এবং গুদামে জায়গা না হওয়ায় চাল পাঠাতে হয় আশপাশের জেলার গুদামে। তবে দীর্ঘমেয়াদে গুদামে চাল সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় নষ্ট হয় পুষ্টিগুণ।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আশুগঞ্জের মেঘনার পাড়ে স্টিল রাইস সাইলোর নির্মাণ শুরু হয় ২০১৮ সালে। আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই সাইলোতে অন্তত ২ বছর চাল সংরক্ষণ করা যাবে।
তবে করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পে অগ্রগতি না হওয়ায় চার দফায় বাড়ানো হয় প্রকল্পের মেয়াদ। সাইলোর সবকটি বিন স্থাপন শেষ হলেও বাকি আছে জেটি, টপ সাইলো স্টিল স্ট্রাকচার, অভ্যন্তরীণ সড়ক, বাল্ক ট্রাক রিসিভিং অবকাঠামো ও ট্রাক ইয়ার্ডের নির্মাণ কাজ। যা শেষ করতে আরও ৬ মাস সময় চায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
মূলত অর্থনৈতিক জটিলতায় ধুকছে সাইলো প্রকল্পটি। এছাড়া সরকার পরিবর্তনের পর সংকটে পড়েছে বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডও। ফলে অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে নির্মাণ কাজ।
তমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী মো. নিশাত হোসাইন বলেন, ‘সরকারি বিভিন্ন ইস্যুর কারণে আমাদের পিডি চেঞ্জ হয়েছে। ডিল পেন্ডিং থাকার কারণে আমাদের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস শুরু হয়ে যায়। যে কারণে পুরোদমে কাজ শুরু করা হলেও এখন আবার থেমে আছে।’
তবে, কাজ এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করার কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, যে ধরনের ব্যারিয়ারগুলো রয়েছে সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা হয় এ বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তারা অধিকতর নজর দেবেন।’
আধুনিক সাইলো নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্পে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। আর প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৭৮ শতাংশ।