কখন ছাড়বে ট্রেন? আজ (শনিবার, ২৬ অক্টোবর) এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কমলাপুরে আসা অধিকাংশ যাত্রী। রেল কর্মী থেকে স্টেশন ম্যানেজার এই প্রশ্নের উত্তর আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। যারা উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন তাদেরও সময় লেগে যাচ্ছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা।
কমলাপুর ঘুরে দেখা গেলো প্রতিটি ট্রেনই শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। শিডিউল বিপর্যয়ে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই তর্কে জড়িয়ে পড়ছে রেল কর্মীদের সাথে। বিরক্ত হয়ে কেউ কেউ যাত্রা বাতিলেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আট মাসের শিশু নিয়ে ৫ ঘণ্টা কমলাপুরে অপেক্ষা করেছেন তুষার-আসমা দম্পতি। শেষমেষ ট্রেন পেয়েছেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস। কিন্তু কখন ছাড়বে সেই প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে ধরেছেন বাড়ির পথ।
একই অবস্থা শফিক আহমেদের। চার ঘণ্টা অপেক্ষা করে তিনি বিকল্প পথে সিলেট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছেন, আগামীকাল নাগাদ কেটে যাবে শিডিউল বিপর্যয়।
যাত্রী দুর্ভোগ ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে কমলাপুরে এসেছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল বাকী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আজ শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে বাতিল হয়েছে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের যাত্রা। সঠিক তথ্য যাত্রীরা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।