কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের অত্যধিক ভিড় উৎসব পার্বণে দেখা গেলেও এ ভিড়ের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ভোগান্তি আর সময় অপচয়ে যাত্রীদের চোখে-মুখে নেই গন্তব্যে ফেরার আনন্দ মুখ।
গেল রাতে কমলা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ৩টি বগি লাইনচ্যুত হবার ঘটনায় এমন পরিণতি যাত্রীদের। দীর্ঘ সময়ের পরও কেন স্বাভাবিক হচ্ছে না রেল চলাচল তা নিয়ে যাত্রীরা রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দুষছেন।
যাত্রীদের মধ্যে একজন জানান, ট্রেনের ৭টার সময় আসার কথা আমরা স্টেশনে চলে আসি। কিন্তু ট্রেন দেরিতে আসায় আমরা ভোগান্তির শিকার।
এদিকে ঘটনাস্থলে লাইনচ্যুত বগির প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল সফল না হলেও দ্বিতীয় পরীক্ষা সফল হয়েছে। এতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা। আর যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির পরিবর্তে সনাতন পদ্ধতিতে চলছে ট্রেন।
তবে শিডিউল পুরোপুরি ভেঙে যাওয়ায় ট্রেন ছাড়তে হচ্ছে বিলম্ব। এতে করে দিনশেষে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। একজন জানান, প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে, শিডিউল ঠিক থাকে না। এইগুলো কী কর্তৃপক্ষ দেখে না!
আরও একজন জানান, বাচ্চা নিয়ে এসেছি। ট্রেন ছিল ৪টা ৪৫ এ। আর এখন বাজে সাড়ে ছয়টা। এই ২ বাচ্চা নিয়ে বসে থাকা খুবই কষ্টকর।
যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তিতে রেল কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করে জানায়, রাতের মধ্যেই কেটে যাবে শিডিউল বিপর্যয়। নষ্ট হওয়া পয়েন্টগুলোতে চলছে মেরামত। আগামীকাল সকাল থেকেই শিডিউল মেনে রেল চলবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘সার্বিক অপারেশন সতর্কতার সহিত করতে হয় নিরাপত্তার জন্য। এই দুর্ঘটনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্মকতার সমন্বয়ে। এই কমিটির রিপোর্টে জানান যাবে কেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল।’