ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক কারণে বেশ গুরুত্ব রয়েছে কলাপাড়ার। এখানে পায়রাবন্দর, নৌঘাটি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পর্যটন কেন্দ্রসহ বাস্তবায়ন হচ্ছে নানা মেগাপ্রকল্প। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পাশের আমতলী, তালতলী, দুর্গম চরাঞ্চল রাঙ্গাবালী, মৌডুবিসহ আশপাশের চার লাখেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করছে এই হাসপাতালটি। ঘনঘন লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগে রোগী ও স্বজনরা।
রোগীদের মধ্যে একজন জানান, হাসপাতালে যদি কারেন্ট না থাকে তাহলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। যেমন: এক্সরে করতে পারে না। বিভিন্ন পরীক্ষা করতে অসুবিধা হয়। আবার গরমে কষ্ট হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে ঠিক সময়ে প্যাথলজির নির্ভুল রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় ও চরাঞ্চল থেকে আসা রোগীরা।
কলাপাড়া, কলাপাড়া হাসপাতাল মেডিকেলের টেকনোলজিস্ট মনিরুল ইসলাম বলেন, 'ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে যার ফলে আমরা রোগীদের সেবা দিতে পারছি না। যখন রিপোর্ট পায় তখন ডাক্তার দেখাতেও অনেক বেগ পেতে হচ্ছে।'
অপারেশন থিয়েটার, জরুরি বিভাগসহ অন্যান্য সেবা নিশ্চিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পেতে কয়েক যুগ ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে ধরনা দিয়েও কাজ হয়নি। তাই চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এই কর্মকর্তার।
কলাপাড়া, কলাপাড়া হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেলের অফিসার ডা. জেএইচ খান লেলিন বলেন, ‘নিউমোনিয়া বা যাদের গ্যাস দিতে হয় কিন্তু বিদ্যুৎ নি থাকার কারণে সেই সুবিধাটা পাচ্ছি না। এছাড়াও এতো বড় হাসপাতাল বিদ্যুৎ ছাড়া পানির ব্যবস্থাও করা যায় না। আর পানি না থাকলে রোগীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও সমস্যা সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন, কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুতের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দাবি সব শ্রেণি পেশার মানুষের।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হলে সর্বস্তরের মানুষ মৌলিক সেবা পাবেন বলছে অভিজ্ঞ মহল।