গত ১৪ অক্টোবর দীর্ঘদিনের আন্দোলন আর দাবির মুখে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশ করে সরকারের গঠিত পর্যালোচনা কমিটি। তাদের সুপারিশে পুরুষের জন্য ৩৫ বছর আর মেয়েদের জন্য ৩৭ বছর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
উপদেষ্টা পরিষদের আজকের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তের মধ্যে সকল বিসিএস ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
এছাড়া বিসিএস ছাড়া সকল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারিত হবে।
স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা প্রয়োজনীয় অভিযোজন সাপেক্ষেও এ বয়সসীমা প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষেত্রে স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বহাল থাকবে।
তবে এই বয়সসীমা পুনর্গঠনপূর্বক বিসিএস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশগ্রহণ করতে পারবে। এরূপ বিধি সংযোজন করবে বলে জানানো হয় উপদেষ্টা পরিশদের বৈঠকে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার বিষয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ওই দিন সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত ২০১২ সাল থেকে চাকরিতে বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন চলে আসছে। সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদও এই দাবি তুলে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার এই দাবি মেনে নেয়নি।
গত মে মাসে এই দাবি নিয়ে চাকরি প্রত্যাশীরা আবার রাস্তায় নামলে বিষয়টি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে প্রতিক্রিয়া আসে।