সাতক্ষীরা-শ্যামনগর সড়ক ধরেই জেলা শহরসহ রাজধানীতে যাতায়াত করেন শ্যামনগর, কালীগঞ্জ, দেবহাটা ও আশাশুনি উপজেলার মানুষ। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ ভ্রমণের জন্যও ব্যবহার করতে হয় এই সড়ক। তবে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের বেহাল দশা।
সীমান্তে বিজিবির রসদ সরবরাহের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ৬০ কিলোমিটারের এই সড়ক। তবে বর্তমানে সড়কটির বিভিন্ন অংশে উঠে গেছে পিচ, সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অল্প বৃষ্টিতে মরণফাঁদে পরিণত হয় গর্তগুলো। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের একজন বলেন, 'এই রাস্তায় চলাচলে মানুষের ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।'
চালকদের একজন বলেন, 'খানাখন্দ ইট পাটকেল দিয়ে কোনোরকমে মেরামত করা হয়। চলাচলে অসুবিধা অনেক।'
তবে সড়ক বিভাগ বলছে, সাতক্ষীরা থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার চার লেন ও কালীগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার ২৪ ফুট প্রস্থ রেখে ২০২৩ সালে একটি প্রকল্পের খসড়া মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। ৮২২ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়ে সড়কটি সংস্কারে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘গত দুই মাস আমরা কাগজপত্র সেখানে প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুত যদি অনুমোদন আর ঠিকাদার না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের দ্বারা এই সড়ক মেরামত করে রাখা সম্ভব না।’
সড়কটি সর্বশেষ সংস্কার করা হয় ১৯৯৮ সালে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চলাচল উপযোগী রাখতে কিছু স্থানে হেরিং বন্ড করা হয়েছে। এছাড়া মাঝে মাঝে সওজ নিজ উদ্যোগে কিছু অংশ পুডিং করে মেরামত করে।