এ দিন রাতে চাঁদপুর মডেল থানায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব। সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, পিএসসি (অধিনায়ক,২১ বীর) ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি টিম যৌথভাবে এই অভিযানে অংশ নেয়।
পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাই। এ সময় পরিত্যাক্ত অবস্থায় আমেরিকার তৈরি একটি ৯ এমএম পিস্তল, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিন ও পিস্তল কভার উদ্ধার করা হয়। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় রক্ষিত পাবলিক গান রেজিস্ট্রার যাচাই বাছাই করে জানা যায় উদ্ধারকৃত পিস্তল ও গুলি সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত মো. সেলিম খানের। এই ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর গাড়িতে করে পালানোর সময় বালিয়া এলাকায় গণপিটুনিতে মারা যায় লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান। এসময় তার লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি বেহাত হয়ে যায়। সেলিম খানের লাইসেন্সকৃত একটি শটগান মডেল থানায় জমা দেয়া হয়েছিল।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জেলার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমাদানের শেষ তারিখ পর্যন্ত জেলায় লাইসেন্সকৃত ১২২ অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে ১২১টি জমা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানে বেহাত হওয়া পিস্তলটি উদ্ধার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।