২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পার করেছে এক অন্যরকম সময়। আন্দোলন, বিক্ষোভ, পুলিশের গুলি, সরকার পতন, গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময় সব কিছু পার করে অবশেষে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেলেন। নানা দোটানার মাঝে থেকে শেষ পর্যন্ত ফলাফল পেয়ে উচ্ছ্বসিত সারাদেশের শিক্ষার্থীরা।
এবারে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন পরীক্ষার্থী। যার মধ্যে পাশের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। যা গেলো চার বছরে সর্বনিম্ন। তবে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫ এর সংখ্যা। এবার জিপিএ ৫ পাওয়া ১০ হাজার ২৬৯ শিক্ষার্থীর মাঝে এগিয়ে মেয়েরা। তবে এই শিক্ষাবোর্ডে একজনও পাশ করেনি এমন কলেজের সংখ্যাও ৫টি।
একদিকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অন্য দিকে পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে এবারে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা হয় শুধু ২টি বিষয়ে। এতে অনেকটাই উৎকণ্ঠায় ছিল শিক্ষার্থীরা। সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চার জেলার এবারে পাশ করেছে ৭১ হাজার ১২ শিক্ষার্থী। যা গতবছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। গেল বছর ১ হাজার ৬শ' ৯৯ জন জিপিএ ৫ পেলেও এবার ৬ হাজার ৬৯৮ জন পেয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪ হাজার ৯৯৯ জন বেশি।
বরিশালে বোর্ডেও এবারে মেয়েদের জয়জয়কার। পাশের হার ও জিপিএ- ৫ সব ক্ষেত্রেই এবারে এগিয়ে মেয়েরা। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ৬৬ হাজার ৮৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে পাশ করেছেন ৫৪ হাজার ৮৯ শিক্ষার্থী।
একই চিত্র রাজশাহী বোর্ডে। বেড়েছে পাশের হার ও জিপিএ ৫ এর সংখ্যা। গেল বছরের চেয়ে ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে এ বছর পাশের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর জিপিএ পাঁচ বেড়েছে ১৩ হাজার। ছেলেদের পেছনে ফেলে এই বোর্ডেও ৪ হাজার বেশি জিপিএ ৫ পেয়ে এগিয়ে মেয়েরা।
একই অবস্থা দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের। এবার জিপিএ পাঁচ পেয়েছে গতবারের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি শিক্ষার্থী। তবে একজনও পাশ করেনি এমন কলেজের সংখ্যা ২০টি।
এদিকে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে। পাশের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। গেল বছর ৩ হাজার ২৪৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেলেও এবছর সেই পরিমাণ ৪ হাজার ৮২৬। ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ে খারাপ করায় পাশের হার কম বলছে শিক্ষাবোর্ড।
ফলাফলে পিছিয়ে যশোর বোর্ডও। এই বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুইটি কমেছে। এবছর যশোর বোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। যা গত বছরে ছিল ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর এবারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ পরীক্ষার্থী। যা গত বছরের তুলনায় অর্ধেক। ইংরেজিতে ফলাফল অবনতির কারণে ফলাফল খারাপ বলছেন শিক্ষকরা।
এবছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১২ হাজার ৯৬৪ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে পাশের হার ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ। এই বোর্ডের অধীনে শতভাগ পাশ করেছে ১০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর একজনও পাশ করেনি এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪টি।