প্রকাশিত ফলাফলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ। এছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ৭০ দশমিক ৩২, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে ৮১ দশমিক ২৪, সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯, যশোর শিক্ষাবোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে ৭১ দশমিক ১৫, বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে ৭৬ দশমিক ৫৬, ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
এবার শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১ হাজার ৩৮৮টি। আর একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টি।
পাসের হারে সব চেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। পাসের হারে সবচেয়ে পিছিয়ে ময়মনসিংহ বোর্ড ৬৩.২২ শতাংশ।
প্রকাশিত ফলাফলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৭০৭ শিক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন, রাজশাহীতে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮৪ জনের বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০২ জন, সিলেটে মোট ৮৩ হাজার ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
এছাড়া যশোর শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ২২ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ১২ হাজার ৩১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২২ জন।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডে ৬৬ হাজার ৮৭ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ জন। দিনাজপুরে ১৪ হাজার ২৯৫ জন পেয়েছে জিপিএ ফাইভ। এ শিক্ষাবোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন। ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে ৭৭ হাজার ৬২১ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৮২৬ জন।
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে মোট ৮৫ হাজার ৫৫৮ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৯ হাজার ৬১৩ জন। আর কারিগরিতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮২ পরীক্ষার্থীর বিপরীতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ৪ হাজার ৯২২ জন।
এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানা যাচ্ছে। তবে, এবার কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসির ফল প্রকাশ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
সব প্রথা বা রীতি ভেঙে স্ব স্ব বোর্ড চেয়ারম্যান ফল ঘোষণা করেন। সেখানে সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও উপস্থিত ছিলেন না।
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন। ওয়েবসাইট থেকে http://www.educationboardresults.gov.bd/, http://www.eduboardresults.gov.bd ফলাফল জানা যাবে। রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে প্রবেশ করে ফলাফল শিট ডাউনলোড করা যাবে।
যে কোনো অপারেটরের মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে HSC<>Board Name (First 3 Letter) <> Roll <> Year টাইপ করে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে।
এবার এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঁচটি, কারও ছয়টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এইচএসসি বা সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।
বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল হওয়ায় সেগুলোর ফল এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।