দেশে এখন
0

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

দেবীদূর্গা আবারও আসবেন এমন প্রত্যাশায় বিষাদের সুরে জগৎ জননীকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দশমীর আনুষ্ঠানিকতা আর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হলো পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গোৎসব। ভক্তদের আশা, পৃথিবীকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করবেন দেবীদূর্গা।

শাস্ত্রমতে স্বর্গ মর্ত্য আর নরকের সব অশুভ শক্তি ভীত আর দুর্বল হয়ে পড়ে। অশুর বধের বিজয়ার আনন্দ। ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের মিলিত তেজে যে মাহামায়ার সৃষ্টি, সেই দুর্গা দুর্গতের জন্য দৃঢ় আর তেজোদ্দীপ্ত।

চক্রে যার সংহতি। আনুগত্য ভালোবাসা আর ভক্তি তার সৃজণে। সেই মহামায়ার আজ (রোববার, ১৩ অক্টোবর) পৃথিবী ছেড়ে কৈলাসে ফেরার দিন।

ভক্তদের একজন বলেন, ‘ধন্যবাদ জানাই একদিনের জন্য হলেও আমাদের ছুটি বাড়িয়েছে।’

দশভূজার আবারো ফিরে ফিরে আসবার প্রত্যাশা। ৫ দিনের উৎসবে ভক্তদের প্রার্থনায় দেশ মানুষ, সমাজে সম্প্রীতি আর সহিষ্ণুতা।

রোববার দুপুরে দশমীর ধুপের গন্ধ আর ভক্তদের পায়ের মিছিলে পলাশী থেকে গাঁথা মালা যায় পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট পর্যন্ত।

যাদের গাড়িতে ওঠার জায়গা হয় নি তারা ঘরের কন্যাকে উঠোন পার করেছেন দুপাশে দাঁড়িয়ে। শুরু থেকে শেষে পর্যন্ত ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।

রাজধানীর ওয়াইজ ঘাটের বিনা স্নান ঘাটে বিকালের পর থেকেই আসতে শুরু করে শোভাযাত্রার ট্রাকগুলো। ঢাক ঢোলে এতদিনের উৎসব শেষে বিসর্জন দিতে হবে দেবী দুর্গাকে।

এবার দোলায় বা পালকিতে চড়ে মর্তে আসা দেবী কৈলাসে ফিরছেন ঘোড়ায় বা ঘটকে করে। তাই, একদিকে যেমন মহামারিসহ নানা দুর্যোগের শঙ্কা আছে, অন্যদিকে ভয় আছে সামাজিক অস্থিরতার। তবে, ভক্তদের আশা, দেবীদূর্গা এসব কিছু থেকে পৃথিবীকে মুক্ত রাখবেন।

ভক্তদের আরেকজন বলেন, ‘আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে এবার।’

বছরের আশ্বিন-কার্তিকের পাঁচ দিনের শারদ উৎসবের শেষে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ে বিষণ্ন ভক্তরা।

ভক্তদের একজন বলেন, ‘মানবতা ও ভালো জিনিস প্রতিষ্ঠার জন্য মা পৃথিবীতে আসে।’

প্রতি বছরের মত এবারও কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন র‍্যাব, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

লালবাগ এরিয়ার ডিসি মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের রুপটপ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে আমাদের পাশাপাশি বিভিন্নবাহিনী কাজ করছে।’

ইএ