তিনি বলেন, ‘যারা গণহত্যা চালিয়েছেন, জুলুম করেছেন, যারা দুর্নীতি করে অবৈধ পাহাড়ের সম্পদ গড়েছেন তাদের অনেকেই এখনো দেশের মধ্যে আছেন। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। এদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের বড় দায়িত্ব হচ্ছে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা শ্রমিক রাজনৈতিক দল আমরা যারা একসাথে ছিলাম তাদের কার কী অবদান তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা মনে করি আমাদের জাতীয় ঐক্যটাকে ধরে রাখতে হবে। আমরা আগের দুর্নীতিগ্রস্ত, বিপর্যস্থ , বিপদগ্রস্ত ও বিভক্ত বাংলাদেশ আর দেখতে চাইনা। আমরা নতুন বাংলাদেশ সূচনা করতে চাই। বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
এসময় এবি পাটির যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দীন, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ, সহকারী সচিব সফিউল বাসার, বাংলাদেশ ছাত্র পক্ষের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রিন্স আল আমিন, কুমিল্লা জেলা এবি পার্টির সমন্বয়ক মিয়া মো. তৌফিকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) আমার আপনার ভোটার আইডি কার্ডটা পর্যন্ত বেচে দিয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর সব কিছুর জন্য শুধু মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করেছে।’
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন ১২ কোটি মানুষের পরিচয় বিক্রি করে দিয়েছে। ওরা শুধু আমার আপনার পকেটের টাকাটা চুরি করে নাই; ওরা আমার আপনার আত্মপরিচয় ও মর্যাদাকে বিক্রি করে দিয়েছে। সেই মর্যাদার লড়াইটা ছিল জুলাই আগস্টের লড়াই। সুতরাং এই লড়াইয়ের সেন্স এবং স্পিরিট আমাদের মনে রাখতে হবে। ছেলেমেয়েরা বলেছে এই বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি হতে হবে। শহীদ আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ।’
ব্যারিস্টার বলেন, ‘সবকিছু যদি আগের মতই চলে তাহলে সেটা সংস্কার না। তাহলে সেটি নতুন বাংলাদেশ না। সবকিছু যদি আগের মতোই চলে ১৬’শ মানুষের রক্তের সাথে গাদ্দারি করা হবে। সবকিছু যদি আগের মতই চলে তাহলে ৬০০ ছেলে মেয়ে যে অন্ধ হয়ে গেছে তাদের চোখ গুলির দাম বৃথা যাবে।’
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এবি পাটির কুমিল্লা জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। মিয়া মোহাম্মদ তৌফিককে আহ্বায়ক, এম এ কাইয়ুমকে সদস্য সচিব এবং আবু সালেহ মো. মাসুদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এবি পার্টি কুমিল্লা জেলা আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে জি এম সামদানীকে আহ্বায়ক, ওমর ফারুক সোহাগকে যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু সাঈদকে সদস্য সচিব এবং মো. ইসমাঈল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এবি পার্টি কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে এবি পাটির কুমিল্লা মহানগর ও জেলা শাখার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।