রাজধানীর গেন্ডারিয়া, জুরাইন, শনির আখড়া, মান্ডা কিংবা দনিয়া যখন খানাখন্দে ভরা সড়ক আর জলাবদ্ধতায় হাবুডুবু খাচ্ছে তখন দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তারা বলছেন সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানও করা হয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে ছিলো বর্ষা মৌসুমের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে চলতি বছরের দ্বিতীয় সভা। যেখানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। কার্যপত্রের ৫ম পৃষ্ঠায় আছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নেয়া উদ্যোগগুলোর কথা। যার শুরুতে বলা হয়েছে, 'জলাবদ্ধতাপ্রবণ ১৬১টির মধ্যে ১০৯টি স্থানের জলাবদ্ধতার কারণ উদঘাটন করে সমাধান করা হয়েছে।'
কিন্তু বাস্তবতা যে কতটা করুণ তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার না থাকলেও, অবাক হওয়ার বিষয় হলো এই একই অগ্রগতি দেখানো হয়েছিলো ৩ মাস আগের ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত প্রথম সভার কার্যপত্রেও। সাবেক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকের কার্যপত্রের দ্বিতীয় পাতার ৫ নম্বর পয়েন্টেও লেখা হয়েছে, ১৬১টি পয়েন্টের মধ্যে ১০৯টির সমাধান করা হয়েছে।
আগের আমলের এই কাগুজে বৃত্তান্তের হুবহু নকল কেন? কিংবা কেনই বা শহরের প্রান্তিক সড়ক, অলিগলির দিকে কোন নজর নেই কর্তৃপক্ষের। প্রশ্ন করতে গেলে থামিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমার বয়স দুই মাস। সুতরাং ২০ বছরের জিনিস আজকে আলোচনা করে সময় নষ্ট করো না।’
সংকট সমাধানে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার নজর বেশি ছিলো গণমানুষের সচেতনতার দিকেই, যেমনটা আগের মন্ত্রীরা বলেছেন। তবে তিনি আশাবাদী, এবারে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তিনি যে সভার ডাক দিয়েছেন, তাতে সমাধান হবেই।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম, খাল উদ্ধার নিয়েও সুনির্দিষ্ট কোন জবাব দেননি এই উপদেষ্টা।