গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি হবে কোনো বিদেশি সরকারপ্রধানের প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য, উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৫৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল থাকবে।’
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, 'সফরকালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন এবং ঢাকায় একদিনের অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।'
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমই প্রথম সরকার প্রধান যিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্র্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের সাক্ষাতের আগ্রহের প্রেক্ষিতে দ্রুত এই সফরের আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'বৈঠকে দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় প্রাধান্য পাবে।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার আকাক্সক্ষাকে এগিয়ে নিতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চাইবে বলে আশা করা হচ্ছে।'
এ সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো জোরদার করবে, একাধিক খাতে সহযোগিতা বাড়াবে এবং কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালে আসিয়ানের মালয়েশিয়ার সভাপতিত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলোতে আরো আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা হবে। —বাসস