দেশে এখন
0

লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত ময়মনসিংহের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা

টেন্ডারের মাধ্যমে মানহীন যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগ

ময়মনসিংহে লোডশেডিং এ নাকাল জনজীবন। যার প্রভাব পড়ছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসা-বাণিজ্যেও। অভিযোগ, এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতিবছর কিনছেন শত শত কোটি টাকার মানহীন যন্ত্রাংশ। যা অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়ছে অন্যদিকে গ্রাহক প্রতি মাসেই গুণছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুতের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ কয়েক ধাপের টেস্টিংয়ের মাধ্যমে কেনার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর ভবানীপুরের জয়বাংলা বাজার। প্রায় ২০ বছর ধরে এ বাজারে আল আমীন দর্জির কাজ করছেন। আগে হাতে কাজ হলেও এখন সেলাইয়ের কাজ হয় বৈদ্যুতিক মেশিনে।

তবে দিনে ৭/৮ ঘণ্টা লোডশেডিং আর ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলে ব্যবসার নাকাল অবস্থা। আলামিনের মতো পল্লী বিদ্যুতের সেবা, অনিয়ম, ভোগান্তির অভিযোগ যেন গ্রাহক পর্যায়ে পাহাড় সমান।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এক, দুই এবং তিন এর কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

তাদের দাবি, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড মাঠ পর্যায়ে কাজ না করলেও গ্রাহক সেবায় বৈদ্যুতিক তার, ট্রান্সফর্মার, মিটার লাইটিং অ্যারেস্টার, খুঁটিসহ সকল মালামাল ক্রয় করে।

যে কারণে হালকা ঝড়বৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সংযোগ। অভিযোগ উঠেছে, কমিশন বাণিজ্যে নিম্নমানের মালামাল কেনে কিছু অসাধু কর্মকর্তা।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, যন্ত্রাংশ ক্রয়ে কয়েক ধাপে পরীক্ষায় কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। মূল্যবান যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ টিম গঠনের তাগিদ।

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এস. এম. আনোয়ারুল হক বলেন, ‘যে যন্ত্রাংশগুলো কেনা হয় সেগুলো ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে কেনা উচিত। কেনার পর ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর সরবরাহ লাইনে যুক্ত করলে বিদ্যুতের সরবরাহ মান ভালো হবে।

বর্তমানে সারাদেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক ৩ কোটি ৬০ লাখ। আর ময়মনসিংহ জেলায় গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি ।

এএইচ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর