পঞ্চগড় সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার তরুণ কৃষক লাবিউর রহমান। বড় আকারে আধুনিক কৃষির সাধ থাকলেও সাধ্যের কাছে মানতে হয়েছে হার। এমন অবস্থায় ধার-দেনা করে বাড়ির পাশের আধা বিঘা জমিতে করেছেন লাউয়ের আবাদ।
লাবিউরের মতো জেলার বেশিরভাগ কৃষি উদ্যোক্তার সমস্যা যেন একই সূত্রে গাঁথা। চাষাবাদের সময় পর্যাপ্ত পুঁজি না থাকায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এনজিও ও মহাজনদের থেকে চড়া সুদে টাকা নেন তারা। সাথে যোগ হয় সার, কীটনাশকের খরচও। যাতে ফসল ফলিয়ে যে লাভ হয় তার প্রায় সবটাই চলে যায় দেনা শোধে।
চাষিরা জানান, বর্তমানে প্রতি বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শাক সবজি আবাদে ন্যূনতম খরচ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংকগুলোতে স্বল্প সুদে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা থাকলেও প্রকৃত কৃষকরা পান না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
তবে, কৃষির উন্নয়নে বিমাসহ কৃষি প্রণোদনা চালু রাখার কথা জানান জেলার কৃষি কর্মকর্তা। আর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জেলার ৮ হাজার ৫০ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকার ঋণ।
বছরের পর বছর ধরে দেশের শস্য ভাণ্ডার যারা সমৃদ্ধ করেছে তাদের ভান্ডারে নেই পুঁজি। সহজ শর্ত ও স্বল্প সুদে ঋণ পেলে কৃষি উৎপাদন হবে আরো সমৃদ্ধ।