কুড়িগ্রামে ৩০টির মতো নদী থাকলেও বলা হয় ১৬ নদীর জেলা। এরমধ্যে আন্তঃসীমান্ত নদী ১৫টি। নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী, রাজারহাট ও রৌমারি উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করেছে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশন 'জেআরসির' প্রণীত ৫৪টি অভিন্ন নদীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও জিঞ্জিরামের নাম। তবে, তালিকায় নেই সংকোশ, নওজল, গঙ্গাধর, নীলকোমল, বারোমাসী, গদাধর, কালজানী, ফুলকুমার, ধরণী ও কালো নদীর নাম।
এমন পরিস্থিতিতে তালিকা বহির্ভূত নদীগুলোর উজানে বাঁধ দেয়া হয়েছে কি-না, বর্ষা মৌসুমে এই নদীগুলো দিয়ে কি পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে এবং শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে কি-না এসব তথ্য পাওয়া বা চাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বন্যায় গোটা জেলার চার ভাগের এক ভাগ পানিতে ভাসে। আর শুষ্ক মৌসুমে পরিনত হয় ধূ ধূ বালুচরে।
স্থানীয়দের একজন বলেন, 'পানি থাকলে নৌকা নিয়ে যেতে আমাদের সুবিধা হয়। যখন পানি থাকে না তখন নৌকা চালাতে কষ্ট হয় যেতে অনেক সময় লাগে।'
অভিন্ন নদীতে অভিন্ন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাদ পড়া নদীগুলো চিহ্নিত করে জেআরসি'র স্বীকৃতি প্রয়োজন বলে মনে করেন নদী বিশেষজ্ঞরা।
রিভারাইন পিপল পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, সরেজমিনে গিয়ে নদীগুলো চিহ্নিত করে বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো নির্ধারণ করা যায় তাহলে কুড়িগ্রামে বাদ পড়া যে ১০টি নদী রয়েছে সেই নদীগুলোকেও তালিকাভুক্ত করা যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় দি সেন্টার ফর ইনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের সমীক্ষায় এ পর্যন্ত জেলায় ২৬টি নদীর অস্তিত্ব চিহ্নিত করেছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, 'জেলা প্রশাসন থেকে নদ-নদীর তালিকাটি আমরা ঢাকায় পাঠাবো। এরপর এটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত করা হবে।'
এবার বিশ্ব নদী দিবসে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সচল নৌ-পথ'।