বন্যার পানিতে থাকার ঘর ভেঙেছে নোয়াখালীর মনির হোসেনের। ছবি: এখন টিভি
মাসখানেক আগে বন্যার শুরুর দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৩০ বছর বয়সী মনির হোসেনের ঘরে পানি উঠে। এরপর স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন অন্যের বাড়িতে। বর্তমানে বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি কমলেও তার বাড়িতে কমেনি। তাই এখনও পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে থাকতে হচ্ছে মনিরকে। তবে পানি কমলেও বিধ্বস্ত বাড়িতে কীভাবে থাকবেন তা নিয়ে শঙ্কায় তিনি।
মনির হোসেন বলেন, 'পানি যখন টান ধরেছে, তখন আমার ঘর বাড়ি সব ভেঙে পড়েছে। এখন প্রতিদিন আসি যাই, কিন্তু পানি এখনও আছে। ঘর যে ঠিক করবো এরকম কোনো ব্যবস্থাও নেই।'
একইচিত্র নোয়াখালীর ৮টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকার। বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলে এখনও বসবাসের উপযোগী হয়নি বেশিরভাগ বাড়ি। আর যেসব জায়গায় পানি কমেছে সেখানেও থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় একজন ভুক্তভোগী বলেন, 'ঘর-দরজা সব সমস্যায় আছে। তুফানে সব ভেঙে গেছে। ঘরের ভেতর পানি আছে, বাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্ট করছি।'
এখনও জলমগ্ন কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর, সুন্দলপুর, সদর উপজেলার নেওয়াজপুর, অশ্বদিয়া, কাদিরহানিফ, দাদপুর, চরমটুয়া ও নোয়াখালী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকার বাসিন্দারা এখনও নৌকা দিয়ে চলাচল করছেন।
এদিকে, দুর্গত এলাকায় ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। দ্রুত সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।
তিনি বলেন, 'বন্যার পর পুনর্বাসনের কার্যক্রমের লক্ষ্যে যে সার্ভে আমরা পরিচালনা করবো, সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবং তারপর জিও এবং এনজিও মিলে কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে পরিকল্পনার মাধ্যমে সেটা আমরা গ্রহণ করবো।'
নোয়াখালী জেলায় এখনও অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। আর বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ১২ লাখের বেশি মানুষ।