পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে আবেদনটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্যে ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের খেলার মাঠে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয় ফুটবল টুর্নামেন্ট। তখনই খেলা দেখতে মাঠের পাশে দাঁড়ান এক ভবঘুরে যুবক তোফাজ্জল হোসেন।
ঢাবির একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে এক অচেনা মানুষকে দেখে হলের পোলাপান। পরে দেখে ছেলেটি হলের না। পরে ভাবে ছেলেটি মোবাইল চুরি করতে আসছে কিনা। পরে তাকে মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্টরুমে নিয়ে আসা হয়।’
গণপিটুনি থেকে বাঁচাতে একদল শিক্ষার্থী তোফাজ্জলকে মুসলিম হক হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে আসলে সেখানেও চলে বেধড়ক মারধর। একপর্যায়ে রাতের খাবার খাওয়াতে ক্যান্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে খাবার শেষে এক্সটেনশন হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে আরেক দফা মারধর করা হয়। তবে এই ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনায় ৭ সদস্যদের তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ দিনভর শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন তারা।
এদিকে এ ঘটনাকে দুঃখজনক মন্তব্য করে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন, অন্য কারো নাম দিয়েন না কারণ এতে তদন্ত করতে সময় লাগে। আর যাতে নিদোর্ষ মানুষকে হেনস্থা হতে না হয়। আমি ডিবিকেও নির্দেশনা দিয়েছি, তাদের পরিচয় তারা দিবে তারপর ধরবে।'