গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিএনপি কর্মী আবুল কালাম (৪৮), মোহাম্মদ হোসেন (২২), মো. ওহাব আলী (৫৫), আবুল হাসান জুয়েল (৪২), মো. মুহসিন সরকার (৩৮), মো. জসিম উদ্দিন (৫৮)।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সিএনজি মিস্ত্রি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি ও মারধরে রূপ নেয়। এ ঘটনায় ওবায়দুল হক থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে।
থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে বিএনপির ৭০-৮০জন নেতাকর্মী তাকে ছাড়িয়ে নিতে আসে। এক পর্যায়ে লাঠি-সোটা হকিস্টিক নিয়ে তারা থানার গেটে হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় একটি এবং থানায় আক্রমণের ঘটনায় আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ফয়সাল এবং অপর মামলার বাদী থানার এসআই আলী আক্কাস।’
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিনকে ফোন করা হলেও তারা দুজনই ফোন কেটে দেন।
মুরাদনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, ‘ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা থানায় লাঠি-সোটা হকিস্টিক নিয়ে আক্রমণ চালায়। তারা থানার কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করে।’
এ ঘটনায় আমাদের পুলিশ বাদী হয়ে একটি এবং ভিকটিমের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় এজহারনামীয় ৩২ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।