আজ (বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শহীদদের তালিকা সম্পূর্ণ হলে স্মরণসভা হবে। এখন পর্যন্ত ৭২৮ জন শহীদদের তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘স্মরণসভার খরচ নিয়ে বিভ্রান্তি হচ্ছে। মূলত শহীদ পরিবারগুলোকে ঢাকায় এনে অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের খরচটাই সিংহভাগ, বরাদ্দের সব খরচ হবে না।’
অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে গঠন করা হয়েছে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন। এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস, সাধারণ সম্পাদক শহীদ মুগ্ধের যমজ ভাই মীর মাহবুব হোসেন। এটা একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এটি মানুষের দানে চলবে। এতে সরকারও কিছু তহবিল দেবে।’
প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বিপ্লব পরবর্তী সময়ে প্রশাসনে অনেকে অসহযোগিতা করছেন। সেজন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাঁজানো হচ্ছে, দ্রুতই স্থবিরতা কেটে যাবে। সেক্রেটারিয়েট ক্যুর আপাতত কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।’
গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিতব্য এ স্মরণসভায় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার মতো খরচ হবে। এ সংক্রান্ত ক্রয় পদ্ধতির কাজ অনুমোদন দেয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে।
স্মরণসভায় বিদেশি অতিথিসহ সব শহীদ পরিবারসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান ড. সালেহ উদ্দিন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা স্মরণসভার প্রস্তুতির বিষয়টি দেখছেন।