দেশে এখন
0

সীমান্ত হত্যা দু'দেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ-ভারত দু'দেশের সুসম্পর্কের স্বার্থেই সীমান্ত হত্যা থেকে ভারতের বেরিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, 'সীমান্ত হত্যা দু'দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। সীমান্ত হত্যা ভারতের উপকার করছে, এ রকমটি কাউকে বলতে শুনিনি।'

আজ (মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে 'সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কড়া প্রতিবাদে কী কোনো কাজ হয়নি' শীর্ষক এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে ভারত সরকারের কাছে ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরও গতকাল (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ একজন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা প্রতিবাদের ভাষা অনেক শক্ত করেছি। এই মুহূর্তে আমাদের এটুকুই করার আছে। আমরা সবসময় বলছি, সীমান্ত হত্যা একটি সংবেদনশীল বিষয়, আশা করছি ভারত বিষয়টিকে বিবেচনায় নিবে।'

ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করে হত্যার পর ভারতীয় হাইকমিশনে প্রতিবাদ নোট পাঠায় বাংলাদেশ। সেটির উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা স্পষ্টভাবে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি। গতকালের হত্যাকাণ্ড নিয়েও আমরা একইরকম প্রতিবাদ জানাব। যেখানে সুযোগ হয়, সেখানেই এ বিষয়ে আমরা বলবো।'

প্রতিবাদ জানানোর পর ভারতের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে কিনা প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান এখনও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।

উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ১৩ বছর বয়সী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে গুলি করে বিএসএফ। এ ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে ৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এসএস