কথা ছিল, গেল ১ সেপ্টেম্বর মায়ের সাথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যাবে মামার বাড়ি। তবে সীমান্ত পাড়ি দিতেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন তারা। বাঁচার জন্য আকুতি করেও রেহাই পায়নি স্বর্ণা। বুলেটের আঘাতে রক্তাক্ত হয় তার বুক। মায়ের চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সন্তান। দু'দিন পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দেয় ভারত। স্বর্ণার বাড়িতে কেবল শোকের ছায়া। শোকাচ্ছন্ন পুরো এলাকা।
তিন ভাই ও দুই বোনের সংসারে সবচেয়ে ছোট ছিল স্বর্ণা। স্বপ্ন দেখতো, পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হবে। অথচ ঘাতকের বুলেটে অকালেই প্রাণ গেলো তার। এমন মৃত্যুর দায় কার? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসী ও তার সহপাঠীদের। অবিলম্বে সীমান্ত হত্যার বিচার দাবি করেন তারা।
১নং ওয়ার্ড পশ্চিম জুড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মদন মোহন দাস বলেন, 'সীমান্তে গুলি করে মানুষকে হত্যা চরম মানবতাবিরোধী ও আইনবিরুদ্ধ কাজ।'
এরই মধ্যে সীমান্তে হত্যার বিরুদ্ধে মশাল মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। শিগগিরই এমন হত্যা বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি করা হয়।
প্রায়ই সীমান্তে বিএসএফের প্রাণ যাচ্ছে বাংলাদেশিদের। যারা সাধারণ মানুষকে প্ররোচনা দিয়ে রাতের আধারে ভারতে দেয়ার কথা বলে সীমান্ত হত্যা করাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করেও বিচারের আওতায় আনার দাবি সবার।
পরিসংখ্যান বলছে, শুধু ২০২৩ সালেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষীর গুলিতে মারা গেছে ২৮ বাংলাদেশি। চলতি বছর সবশেষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ ঝরে মৌলভীবাজারের কিশোরী স্বর্ণা দাসের।