আন্তর্জাতিক নদীতে একক কোনো দেশ বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনা বলে জানিয়ে ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করা ইনকিলাব মঞ্চ। আজ (শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী ও কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করেন লং মার্চে অংশগ্রহণকারী। পথসভায় এ কথা জানানো হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, ‘আন্তঃসীমান্ত যত নদী আছে, যেগুলোর মালিক ভারত, বাংলাদেশ, চীন অনেকেই আছে। আন্তর্জাতিক আইনে একক কোনো দেশ আন্তর্জাতিক নদীতে একা বাঁধ নির্মাণ করতে পারে না। সরকারকে বলতে চাই ভারতের সমস্ত অবৈধ বাঁধ ভেঙে ফেলার দাবিতে অতিসত্ত্বর জাতিসংঘ এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের বাঁধ দেয়া আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেন মঞ্চের সদস্যরা। বলেন, অবৈধ বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ বন্যা আর ফসলের মৌসুমে খরার কবলে পড়ছে বাংলাদেশ।
একজন জানান, স্বাধীনতার পর থেকে যেভাবে তারা প্রত্যেকটা নদীতে অবৈধ বাধ দিয়েছে এবং সে সময় বাংলাদেশ সরকারকে নিয়ে ব্যর্থ যৌথ নদী কমিশন করেছে। যেটার কোনো কার্যকারিতা দেখা যায়নি।
যুগের পর যুগ বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করায় আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলার দাবি জানান তারা।
লং মার্চে অংশ নেয়া একজন জানান, যেহেতু এটি রাজনৈতিক সমস্যা, তাই এটিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করতে হবে।
বিকেলে কুমিল্লার টাউন হলে সার্বভৌম সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ। এতে বক্তব্য রাখেন নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নির্মাণ করা বাঁধ ভেঙে দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।
লং মার্চ থেকে ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ, দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকা ভিত্তিক নায্য পানিবণ্টনসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশ শেষে ডুম্বুর অভিমুখে পদযাত্রার মাধ্যমে শেষ হয় লং মার্চ।