দেশে এখন
0

পানি নামলেও এখনো দুর্ভোগ কাটেনি বন্যার্তদের

সময়ের সাথে উন্নতি হচ্ছে বন্যা কবলিত জেলার পরিস্থিতি। পানি নামলেও এখনো দুর্ভোগ কাটেনি বন্যার্তদের। ফেনীর পাঁচ উপজেলায় বন্যার পানি নেমে গেলেও দাগনভূঞাঁয় পানির নিচে ঘর-বসতি ও রাস্তা ঘাট। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট। একই সঙ্গে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। বন্যা পরবর্তীতে একই চিত্র দেখা যায় কুমিল্লায়। এদিকে নোয়াখালীতে এখনো পানিবন্দি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। সড়কের বেহাল দশায় দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানো যাচ্ছে না ত্রাণ।

বন্যা কবলিত বেশকিছু এলাকায় পানি কমলেও এখনো দুর্ভোগে ফেনীর বাসিন্দারা। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, সব হারিয়ে নি:স্ব জেলার হাজারো মানুষ।

জেলার পাঁচ উপজেলায় বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো পানির নিচে দাগনভূঞাঁ উপজেলার ঘর-বাড়ি ও রাস্তা ঘাট। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানি ও খাদ্য সংকট। এ ছাড়া স্পষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার সড়ক, কৃষিখাতের ক্ষতচিহ্ন। আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন দুর্গত এলাকার মানুষরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় কৃষিখাতে ক্ষতি হয়েছে ৯১৪ কোটি টাকার বেশি। নষ্ট হয়েছে ৫০০ কিলোমিটার রাস্তা।

এদিকে নোয়াখালীতে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে এখনো পানিবন্দী ৮টি উপজেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ। এছাড়া আড়াই লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় দুর্গম এলাকাগুলোতে পৌঁছানো যাচ্ছে না ত্রাণ।

অন্যদিকে বন্যার কারণে কুমিল্লায় বাড়ছে চর্মরোগ, ডায়ারিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ। এছাড়া বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দূষিত হচ্ছে লোকালয়ে অবস্থান করা পানি। বাসিন্দাদের মাঝ বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।

ভারতীয় ঢল ও ভারি বর্ষণে বন্যায় প্লাবিত হয় কুমিল্লার ১৪ উপজেলা। এ উপজেলার ১৩ লাখ বাসিন্দা পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এ বন্যায় মৎস্য, প্রাণী ও কৃষি খাতে প্রায় সাড়ে ১৩শ' কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর