দেশে এখন
0

সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সারাদেশে বন্যার্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের বিবরণ

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক সারাদেশে বন্যার্তদের উদ্ধার, চিকিৎসা সেবা ও ত্রাণ সহায়তায় কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় ( শনিবার, ২৪ আগস্ট ) সর্বমোট ২৩শ' জন বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে হেলিকপ্টার ও বোট যোগে উদ্ধার পূর্বক বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বমোট ১৮ হাজার ৩৯৪ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।

আজ ( রোববার ২৫ আগস্ট) আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে ৭টি অস্থায়ী মেডিকেল টিমের মাধ্যমে সর্বমোট ৮৬৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি  ও র‌্যাবের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আকাশ পথে ৪ হাজার ৪৮২ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী দুর্গম এলাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে সর্বমোট ১৯ জন রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে, বন্যা কবলিত পরশুরাম মডেল স্কুল হতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ৫ জন এবং ফেনী জেলার লালপুর হতে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর স্থাপিত ১১ টি ক্যাম্পের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ৫টি, বিমানবাহিনীর ৭টি, র‌্যাবের ২টি ও বিজিবির ১টি হেলিকপ্টার ইউনিট মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচলের উপযোগী রাখার লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম হতে সেনাবাহিনীর ২টি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছে।

এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকায় মোবাইল সংযোগ সচল করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বেসামরিক মোবাইল কোম্পানিগুলো টাওয়ার মেরামতের কাজ চলমান রেখেছে।

সেনাবাহিনী কর্তৃক খাগড়াছড়ি জেলার সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে আটকা পড়া ২৬০ জন পর্যটককে ৭৩ টি যানবাহনযোগে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।_ আইএসপিআর

tech