দেশে এখন
0

বন্যায় বিদ্যুৎ-সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ব্যাহত উদ্ধার তৎপরতা

ভয়াবহ বন্যায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন চট্টগ্রামের নয় উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্তত শত কোটি টাকা।

চট্টগ্রামে হুহু করে ঢুকছে বন্যার পানি। এতে করে ডুবছে রাস্তাঘাট বসতভিটা। নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে দুর্গত এলাকার মানুষ।

গৃহস্থালির আসবাবপত্রসহ গবাদিপশু নিয়ে বাড়ছে বিড়ম্বনা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ভোগ। বেশিরভাগ বসতঘরেই ডুবে আছে হাঁটু থেকে কোমরপানিতে। রান্না-খাওয়াও বন্ধ প্রায় এ অঞ্চলের সবার। গত ৩০ বছরে এমন বিভীষিকা দেখেনি এ অঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা ঘরের ভেতর কষ্ট করছি। আমার ঘরের ভেতর এক কোমর পানি জমে গেছে। খাটসহ ঘরের সব ডুবে গেছে। আশেপাশের যত বৃদ্ধ আর শিশু আছে, সবাই মানবেতর জীবনযাপন করছে। গত প্রায় ৩০ বছরে এমন বন্যা দেখিনি আমি।'

উজান থেকে নেমে আসা ঢলের জলে চোখের সামনেই ডুবছে নতুন নতুন জনপদ। ঘরবসতি থেকে শুরু করে হাটবাজার ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ঢুকছে পানি। যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন আশ্রয়ের সন্ধানে। এমন অবস্থা চট্টগ্রামের মিরসরাই, ফটিকছড়ি, রাউজান, সীতাকুণ্ডসহ নয় উপজেলার ৯৩টি ইউনিয়নে। পানিবন্দি হয়ে আছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমরা খুব করুন অবস্থায় আছি। আজ প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন হলো ঘরে কোনো রান্নাবান্না হয় না। অতিবৃষ্টি হওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। আশেপাশে এমন কোনো আশ্রয় কেন্দ্র নেই যে যেখানে মানুষ আশ্রয় নেবে। আমরা কোনো আশ্রয় পাচ্ছি না। সবকিছু বন্ধ হয়ে আছে।'

চট্টগ্রামে হালদা, ফেনী ও মুহুরি নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট সেবাসহ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা। স্বজন ও প্রিয়জনের খোঁজ নিতেও বিপাকে পড়ছেন অনেকে। এ অবস্থায় দুর্গতদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়াসহ শুকনো খাবার ও ত্রাণ সহায়তার দাবি করছেন বানভাসিরা।

tech