এরই মধ্যে সমন্বয়কদের কেউ কেউ এ বিষয়ে গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করে দিয়েছেন। আজ (শুক্রবার, ১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জনমতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাসপাতালে ভর্তি আহতদের পরিদর্শন শেষে রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তাদের ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। জনমত গঠনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হতে পারে।’
আন্দোলনে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা অভিহিত করে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি নিন্দা জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুততম সময়ে আন্দোলনে নিহত, আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান।’
২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগকে সুচিকিৎসার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবার দাবিও জানান এই সমন্বয়ক।
এদিকে বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে আজ বলা হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক মাসের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে এটা জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বাইরে গিয়ে নতুন দল গঠনের চিন্তাভাবনা করছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। মূলত দেশের সব জায়গায় সংস্কার আনতে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। গত ১৫ বছরের পুনরাবৃত্তি চান না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
রয়টার্সকে দেয়া বক্তব্যে সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে যে দাবি জানানো হচ্ছে, তা অন্তর্বর্তী সরকার আমলে নিচ্ছে না।