জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখার লিখিত দলিলের দাবিতে যখন সোচ্চার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তখন বিগত ১৬ বছরের দমন-পীড়নের ইতিহাস ঘোষণাপত্রে তুলে ধরার দাবি জানায় রাজনৈতিক দলগুলো। এমন প্রেক্ষাপটে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সকল পক্ষের চাহিদার আলোকে ঘোষণাপত্র তৈরিতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সবার ঐকমত্য আছে। তবে আগামীর রাষ্ট্র পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কোনো মতভেদ থাকলে তা আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে।
মাহফুজ আলম বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেয়া সকল রাজনৈতিক দল ও সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে সরকার। খুব বেশি দেরি হবে না। শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনা ও সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার ঘোষণাপত্র দিবে।'
চলতি মাসে সংস্কার কমিশনগুলোর দেয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার পর সংস্কারের পরিধির আলোকেই আগামীর নির্বাচনের তারিখ স্পষ্ট হবে বলেও জানান এ উপদেষ্টা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন সময় সাপেক্ষ বিষয়। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট দিলে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার পর সংস্কারের পরিধির ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ স্পষ্ট হবে। সংবিধান বাতিল নাকি সংস্কার হবে, তা আলোচনার ভিত্তিতে হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ আলোচনা শুরু হবে, এবং শেষ হবে।'
এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, 'আগামী ফেব্রুয়ারিতে বই হাতে পাবেন শিক্ষার্থীরা। বিগত শাসনামলে বছরের শুরুতে বই উৎসব হলেও সকল বই পেতে কয়েকমাস সময় লাগতো।'
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও রাজধানীতে ট্রাফিক সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান প্রেস সচিব।