আজ (বৃহস্পতিবার, ১৫) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র ও বঙ্গভবন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা শপথ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৭ উপদেষ্টা শপথ নিয়ে কাজ শুরু করলেও আগামীকাল আরো কয়েকজন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তবে এই সংখ্যা ৪-৫ জন হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। নতুন উপদেষ্টাদের নামপরিচয় জানা না গেলেও তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে পাঁচটি গাড়ি।
রাষ্ট্রপতির দৈনিক কর্মসূচি থেকে জানা যায়, আগামীকাল বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টারা সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
গত ৮ আগস্ট বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। সুপ্রদিপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায় ও ফারুক-ই-আজম সেদিন ঢাকার বাইরে থাকায় শপথ নিতে পারেননি।
এর পর ১১ আগস্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শপথ গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতির কাছে থেকে। আর ১৩ আগস্ট শপথ নেন ফারুক-ই-আজম।
পরে গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অধীনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ রাখা হয় ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। যদিও পরে সেখান থেকে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তিন উপদেষ্টাকে দেয়া হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেনকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া সুপ্রদীপ চাকমাকে দেয়া হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সবশেষ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমকে।