দেশে এখন
0

পুলিশশূন্য পুরো দেশ; বেড়েছে লুটপাট, ছিনতাই-ডাকাতি!

সরকারের পদত্যাগ এবং ছাত্র-জনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস ও হতাহতের ঘটনায় পুলিশশূন্য হয়ে পড়েছে দেশ। এতে বেড়েছে লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতির মতো অপরাধের ঘটনা। উদ্বিগ্নতা ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছেন সাধারণ নাগরিকরা।

ডাকাত দলকে প্রতিরোধে মসজিদের মাইকে দেয়া হয় ঘোষণা। ডাকাতির ভয়ে মঙ্গলবার ( ৬ আগস্ট) সারারাত আতঙ্কে কাটিয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একাংশের বাসিন্দারা। শঙ্কিত হবার কারণও ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। স্থানীয়রা জানান, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা হাতে নিয়ে সদলবলে বাড়ি-ঘরে ঢুকেছে দুর্বৃত্তরা। প্রধান সড়ক থেকে অলি-গলিতে ছিনতাইয়ের শিকারও হয়েছেন চলাচলকারীরা।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘এলাকার পরিস্তিতি তেমন ভালো না। অনেক ছেলে আছে যারা রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে সন্ধ্যার পরে ঘুরতেছে।’

নবোদয় হাউজিংয়ের ডি ব্লকের বাড়ির একটি ফ্লাটে ডাকাতি হয়েছে মঙ্গলবার রাতে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বাড়ির ফটক খুলতে রাজি হননি কেউ।

একই উদ্বিগ্নতায় কয়েকটি আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারে নিজেরাই ব্যবস্থা করছেন বাড়ি মালিক সমিতি। স্থানীয় ছাত্র, ব্যবসায়ী এবং অংশীজনের সাথে বৈঠক করে রাতভর পাহারা দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা।

বাসিন্দাদের আরেকজন বলেন, ‘আমরা দুইটা টিম করেছি। যেখানে দুই শিফ্টে ভাগ করে এলাকা পাহারা দিবো।’

এদিকে, লুটপাট আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ রাখছেন মহানগর ঢাকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী। জানান, বর্তমানে দেশে কোন আইন নেই, মানুষের জান-মাল রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীও নেই। আইন-শৃঙ্খলার অনুপস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সবাই।

দোকানদের একজন বলেন, ‘দোকানপাট সব বন্ধ। ভয়ে খুলছে না। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলবে।’

মানুষের এমন কথার প্রতিফলনও দেখা গেছে রাজধানী জুড়ে। কোথাও নেই পুলিশ বাহিনী। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্র-জনতা। থানাগুলো পুলিশ শূন্য। কেবল পড়ে আছে ধ্বংসস্তুপ। এমনকি বন্ধ রয়েছে পুলিশের স্থাপনাও।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর