গেল ৪ দশকের রেকর্ড ভেঙে চোখ রাঙাচ্ছে ফেনীর বন্যা। টানা দু'দিনের ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানির তোড়ে ভেঙেছে মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার প্রায় ৬০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ভেসে গেছে পুকুর-জলাশয়ের মাছ ও ফসলি জমি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণেই বন্যার শিকার হচ্ছেন তারা। গেল ৫০ বছরেও এমন বন্যা দেখেননি তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'প্রতিবছর আমাদের দুর্ভোগ পোহাইতে হয়। বাঁধ ভেঙে সব ভেসে গেছে। ঘরে খাবার নাই।'
অপর একজন বাসিন্দা বলেন, 'বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে, সেখানে থাকার উপায় নেই। এমনকি গরু ছাগলও বের করতে পারতেছি না।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, 'আশেপাশে সব পানিতে ডুবে গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন যে গত ৫০ বছরে এমন পানি তারা দেখেননি।'
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুর্গতদের শুকনো খাবার দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন মজুমদার সাজেল।
তিনি বলেন, '১৯৮৮ সালেও বন্যা হইছে কিন্তু এত পানি হয় নাই। আমরা ভুক্তভোগীদের সহায়তা দিচ্ছি।'
গত জুলাই মাসের বন্যায় ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই আবারও বন্যার কবলে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে, গেলো দু'দিনে ফুলগাজী উপজেলায় ৭ হাজার এবং পরশুরাম উপজেলায় ১৩ হাজার পানিবন্দি রয়েছেন।