আজ (মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিং করেন মন্ত্রীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় আগামীকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত কারফিউ শিথিলের সময় ঘোষণা দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের আলোচনায় ভেসে উঠেছে সারা বাংলাদেশেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কারণে সান্ধ্য আইনে কিছু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ কারফিউ শিথিল থাকবে। বাকি সময় সান্ধ্য আইন জারি থাকবে।’
এছাড়া অন্যান্য জেলার সেখানকার ম্যাজিস্ট্রেট পরিস্থিতি বুঝে কারফিউ শিথিলের সময় দেবে বলে জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’
সাম্প্রতিক গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো গণগ্রেপ্তার আমরা করছি না। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ভিডিও ফুটেজ, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আটক করা হচ্ছে।’
যারা শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তারা যেন কেউ কোনোভাবেই আইনগত ও প্রশাসনিক হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো অভিভাবক ও শিক্ষার্থী নিরপরাধ মনে করেন, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানাতে পারবেন ও তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
নিরাপত্তা ঝুঁকি কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।