উত্তরায় সকাল থেকে সবশেষ বিকেল ৫টা পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলার খবর পাওয়া যায়।
রাজধানীর উত্তরায় কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মরদেহ উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে রাখা আছে বলে নিশ্চিত করেছে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীদের কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে অংশ নিতে উত্তরার আজমপুর এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশে সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। তবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, হাসপাতালটিতে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এছাড়া উত্তরার বিভিন্ন হাসপাতালে আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এছাড়া ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ আহত হলে তাকে বেসরকারি সিটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সে সময় ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সকালে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পুলিশ। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন ফাইয়াজ।
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এমআইএসটির ইয়ামিন নামের এক শিক্ষার্থীকে নেয়া হয়। পরে হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজধানী ছাড়াও নরসিংদীতে স্কুল শিক্ষার্থী তাহমিদ ইসলাম নিহত হয়েছেন। আজ বিকাল ৫টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর জেলখানার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত তাহমিদের বাড়ি সদর উপজেলার চিনিশপুরে। সে নরসিংদী কাদির মোল্লা হাইস্কুল হোমস অ্যান্ড স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দিনব্যাপী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সংঘাত-সহিংসতা হয়েছে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।