প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব আর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি, পরিস্থিতি বুঝে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
পলক বলেন, ‘ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, টিকটকের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু বিতর্কিত কনটেন্ট অপসারণ নিয়ে তাদের প্রাইভেসি পলিসি সন্তোষজনক না। এরপর তাদের কারণে যদি একটি প্রাণহানি ঘটে তাহলে এসব কোম্পানিকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে বাংলাদেশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করে বাংলাদেশের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।’
এদিকে গতকাল (বুধবার, ১৭ জুলাই) থেকেই ফোরজি কাভারেজ সীমিত করায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমে গেছে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি।
এতে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে অনেকে প্রবেশ করতে পারছেন না। দীর্ঘ চেষ্টায় প্রবেশ করতে পারলেও কোনো বার্তা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা যাচ্ছে না।
সরকারি নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানায় অপারেটর কোম্পানিগুলো।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ কলেজ এলাকায় ফোরজি সেবা সীমিত করা হয় বলে জানায় তারা। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে নেটওয়ার্ক কাভারেজ সীমিত করা হয়েছে বলেও জানায় অপারেটরগুলো।