কুড়িগ্রামে নদ-নদীতে আবারও পানি বেড়েছে। এর ফলে আজ (বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই) সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার, ধরলার ফেরিঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমারের পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা অববাহিকায় জেলায় সর্বোচ্চ ১৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে করে নদীর পানি বেড়ে আশপাশের এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
এদিকে পানি কমলেও টাঙ্গাইলে যমুনা, ঝিনাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৬ উপজেলার ১০৮টি গ্রামের ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। বন্ধ রাখা হয়েছে ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও সরিষাবাড়ির জগন্নাথগঞ্জ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় পানিবন্দি রয়েছেন তিন লাখ মানুষ।
অপরদিকে বগুড়ায় যমুনার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি মানুষের। চরের বানভাসি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বাঁধের ওপর। বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকটে রয়েছে তারা। সরকারি সাহায্য একেবারে অপ্রতুল বলে জানায় এলাকাবাসী।