রোববার দুপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দিকে শিক্ষার্থীর ঢল নামে। প্রতিটি আবাসিক হল থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে একত্রিত হন কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে।
বিকেল ৩টায় শুরু হয় শাহবাগমুখী যাত্রা। গ্রন্থাগার থেকে হলপাড়া, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে শাহবাগ এসে জড়ো হয় মিছিল। রাস্তার উপর অবস্থান নিয়ে চলে কোটা বাতিলের নানা স্লোগান।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি 'বাংলা ব্লকেড' অনুযায়ী অবরোধ করা হয় শাহবাগ, সাইন্স ল্যাব, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত ও বাংলা মোটর এলাকা। আলাদা আলাদা দলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয় এসব জায়গায়। তাদের দাবি, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখা।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'সরকারি চাকরিতে মেধার প্রাধান্যটা বেশি থাকবে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ যদি মেধাতে নিয়োগ হয় তাহলে বাকি ১০ শতাংশ মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কোটা আমাদের মাঝে বৈষম্য তৈরি করে, আমরা বৈষম্যপূর্ণ দেশ চাই না। আমরা চাই না আমাদের দেশ মেধা শূণ্য হয়ে যাক। আমরা দেশের উন্নতি চাই।'
স্লোগান আর পোস্টারে উঠে আসে কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবি। গান-কবিতায় উচ্চারিত হয় বৈষম্যের সুর। শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে নীলক্ষেত অবরুদ্ধ করে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালন করে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে, স্যায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নেয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ থাকে নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড় কেন্দ্রিক সবগুলো সংযোগ সড়কে। ৫ ঘণ্টা পর রাত ৮টায় আসে কর্মসূচির ঘোষণা। সোমবারও সারাদেশে চলবে ব্লকেড কর্মসূচি। সারাদেশের সব শিক্ষার্থীদেরকে এই আন্দোলনে যুক্ত করার কর্মসূচি নেয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
ঘোষণার পরই আটকে থাকা যানবাহন চলতে শুরু করে।