ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের করিডোর পড়ে আছে ফাঁকা। শ্রেণিকক্ষে ঝুলছে তালা। ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এমনকি নেই শিক্ষার্থীদের কোলাহল।
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের তৃতীয় দিনে এমন চিত্র। কলাভবনের ফটকে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
তবে কর্মবিরতির তৃতীয় দিনে এলো নতুন মোড়। শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে বৈঠকে বসবেন।
নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করতে হবে। ২০১৫ সালে আমারে যে সুপার গ্রেুডটি দেয়ার কথা ছিল, সেটা দিতে হবে। আর আমরা স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চাচ্ছি। যদি প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল করা হয় তাহলে দু'টি মিলিয়ে এক জায়গায় চলে আসলো। এটা আমাদের মূল দাবি।'
শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা না বুঝেই মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, এমন দাবিও করেন শিক্ষকরা। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের দেয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে ফেডারেশন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, 'আমার মনে হয় তিনি কোনো ধরনের তথ্য উপাত্ত যাচাই না করে শুধু কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাকে একটি লিখিত প্রেস রিলিজ দিয়েছেন। তিনি সেটার উপর নির্ভরশীল হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।'
এদিকে আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারী নেতারা অর্থমন্ত্রীকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্কিম বাতিল না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এদিকে ৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে সব বিশ্ববিদ্যালয়। এমন পরিস্থিতিতে, সমসাময়িক সমস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি শিক্ষার্থীদের