সম্প্রতি সময়ে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও কাস্টসম কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। যা নিয়ে নিয়মিত গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচারিত হচ্ছে। বেনজীর, মতিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করছে দুদক।
সরকারের বড় বড় পদে এসব সরকারি কর্মকর্তাদের অঢেল সম্পদের ঢেউ জনমনে নানান প্রশ্ন উঠছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
পাঁচ বছর পরপর সরকারি কর্মচারির সম্পদের হিসেব দেয়ার বিধিমালা ১৯৭৯ চালু করা হয়। ২০০৭ সালে তৎকালিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৫ সালেও একবার উদ্যোগ নেয়া হয়। তবে সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সম্পদের হিসেব দাখিলে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল দুর্নীতি ঠেকাতে সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতিবছর সম্পদের হিসেব নেয়া ও তা হালনাগাদ করার তাগিদ দিয়েছে। এর পরপরই আলোচনায় আসে সাবেক আইজিপি বেনজীরের নজিরবিহীন দুর্নীতির খবর।
সুশাসন ও দুর্নীতি বন্ধে যখন বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের ভেতরে বাইরে সমালোচনা তুঙ্গে। এমনকি সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও সংসদে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এই অবস্থায় সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দাখিল ও তা প্রকাশ করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
আজ (মঙ্গলবার, ২ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটের শুনানি করে নির্দেশ দেন তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দেয়ার।
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসেব দাখিল করে তা প্রকাশ কেন করা হবে না, এ বিষয়ে রুলও দেয় উচ্চ আদালত। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ আটজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।