মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা গাড়িতে জমে আছে স্বচ্ছ পানি। আর তাতেই বংশবিস্তারের সুযোগ থাকছে জীবননাশী এডিস মশা।
শাহবাগ থানার আশপাশেও যেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে জব্দকৃত যানবাহন। সাথে চলমান ড্রেন-সড়কের উন্নয়ন কাজ। আর তাতে মশার প্রকোপ যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে থানার আঙ্গিনায় এমন কয়েল জ্বলিয়ে মশা তাড়াবার চেষ্টায়।
নগরবাসী একজন বলেন, 'এখানে অনেক মশা রয়েছে। দিনের বেলা একটু কম থাকলেও রাতের বেলা বসার অবস্থা থাকে না। কয়েল জ্বালালে কিছুক্ষণ থাকে না আবার আসে।'
এবার দেখাতে চাই বনানী থানা প্রাঙ্গণের চিত্র। ভাঙাচোরা গাড়ি উন্মুক্ত এখানে। সামান্য বৃষ্টিতেই একেকটি পরিণত হচ্ছে জলাধারে। এ নিয়ে অভিযোগেরও শেষ নেই স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের একজন বলেন, 'ভাঙ্গা গাড়িগুলো খোলা অবস্থায় ফেলে রাখার জন্য বৃষ্টির পানি জমে মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।'
থানা এলাকায় মশার এমন উপদ্রবে উদ্বিগ্ন পুলিশ সদস্যরা। বলছেন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছেন তারা। নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাহান হক বলেন, 'আমরা নিজেদের উদ্যোগে আমাদের থানা প্রাঙ্গণ, হাজত ও কোয়াটার এলাকা পরিষ্কার রাখছি।'
যদিও থানা এলাকায় যত্রতত্র ডাম্পিং হওয়াকে মামলার দীর্ঘসূত্রতা বলছেন এ কর্মকর্তা।
কাজী সাহান হক বলেন, 'জব্দকৃত আলামত নিষ্পত্তি করার জন্য আমাদের আদালতের একটা আদেশের প্রয়োজন পড়ে। যত্রতত্র ডাম্পিং হওয়াকে মামলার দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে।'
মশার উপদ্রবের সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। এমন বাস্তবতায় কর্তৃপক্ষের যথাযথ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।