মানিকগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে মরিচের আবাদ বেশি হয় শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায়। গুণগতমান ভালো হওয়ায় এ অঞ্চলের মরিচ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয় বিদেশের বাজারেও। কিন্তু গেল বছরের মতো এবারও ফলন বিপর্যয়ে মরিচ চাষে লোকসান গুণছেন চাষিরা।
গেল বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার ১৭৬ হেক্টর বেশি জমিতে মরিচের আবাদ করেন চাষিরা। চারা, সেচ, সার, কীটনাশকসহ বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে অন্তত ২০ হাজার টাকা। তবে গেল এপ্রিল মাসব্যাপী তাপপ্রবাহ, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আর পাতা কুঁকড়ানো রোগে মরিচের ফলন কমেছে অন্তত তিন চতুর্থাংশ। এ অবস্থায় উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়েই দুশ্চিন্তায় চাষিরা।
এদিকে, হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা বাজার জেলার অন্যতম মরিচের বড় আড়ৎ। স্বাভাবিক ফলন হলে এসময় আড়তে প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার কেজি মরিচ কেনাবেচা হয়। কিন্তু ফলন কমায় আড়তগুলোতে বেচাকেনাও কম। সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে মরিচ কিনছেন আড়তদাররা।
সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মরিচের ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেয়ার দাবি কৃষি বিভাগের।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নুর আহমেদ জানান, 'মরিচ গাছগুলোতে পাতা কুকড়ানো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শনের পর এ নিয়ে গবেষণা চলছে'।
চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জে ৩ হাজার ৭শ' ১৭ হেক্টর জমিতে কাঁচামরিচের আবাদ হয়েছে।