দেশে এখন
0

রাসেল'স ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাসেল'স ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। উপজেলা পর্যায় থেকে সব হাসপাতালে সাপের ভ্যাকসিন রয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রকৃতি ও পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কারণেই রাসেল ভাইপার লোকালয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে বলে সেমিনারে জানান বিশেষজ্ঞরা।

ঘন ঘন অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের পানি সমতলে নেমে আসা, বন্যাসহ নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে দেশ। কয়েক বছর ধরে বন্যার কবলে পড়ছে, সিলেটের কয়েকটি জেলা। এতে করে মানুষের ফসল ক্ষতির পাশাপাশি বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের।

বিভিন্ন ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠান, কল কারাখানা তৈরিতে নষ্ট হচ্ছে বন জঙ্গল। দুর্বল হচ্ছে প্রাণীদের বাস্তুসংস্থান। এসব কারণে প্রাণীদের জীবননাশ হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ছে মানুষ। কারণ বনের প্রাণি চলে আসছে জনবসতিতে।

প্রাকৃতিক পরিবেশ, জঙ্গল বিনষ্টের ফলই রাসেল'স ভাইপার। জঙ্গলে খাবার সংকট, মাটির নিচে গরম বেড়ে যাওয়া, পানিতে বিভিন্ন এলাকা ভেসে যাওয়ায় রাসেল'স ভাইপার এখন লোকালয়ে দেখা যাচ্ছে। এতে ছড়িয়ে পড়েছে আতংক। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তি ও ভীতি।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২৭ন জুন) এসব পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব কনভেনশনে হলে এক সেমিনারের আয়োজন করে মেডিসিন সোসাইটি। এখানে রাসেলস ভাইপার নিয়ে গবেষণাধর্মী তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০১৩ সালে চিহ্নিত হওয়া রাসেল'স ভাইপার পানিতে বাস করা সাপ নয়। এটি মানুষকে তেড়ে কামড়ায় না।

রাসেল'স ভাইপার কামড় দিলে ওঝার কাছ সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে বললেন চিকিৎসকরা। এই সাপের কামড়ে ৭০ শতাংশ মানুষ বেঁচে যায়। রাসেল ভাইপারসহ যেকোন বিষধর সাপের কামড়ের প্রতিষেধক দেশেই তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার নিয়ে গণমাধ্যমকে ভীতি না ছড়িয়ে সচেতনতা বাড়ানোর অনুরোধ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া আফজাল। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সাপের কামড়ের প্রতিষেধক মজুত রাখা আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, 'রাসেল'স ভাইপারে কেউ যেন আতঙ্কিত না হয়। আমাদের মেসেজটা যেন মানুষের কাছে পৌঁছায়। রাসেল'স ভাইপারের এন্টিভেনম প্রচুর আছে। ভুল তথ্য প্রচুর করলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়বে।'

বছরে সারাদেশে সাত হাজার মানুষ সাপের কামড়ে মারা যাচ্ছে। সেমিনারে এমন তথ্য উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, প্রকৃতি যত বেশি নষ্ট হবে, ততই বিভিন্ন ধরণের ব্যধিতে আক্রান্ত হবে মানুষ।

এভিএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর