স্বাস্থ্য
দেশে এখন
0

ফাঁকা বাসা-বাড়িতে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাসা বাড়িতে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি। এছাড়াও দুই সিটি করপোরেশনের অনেক এলাকায় এখনো গরুর হাটের ময়লা আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেসব আবর্জনাও পরিণত হয়েছে মশার আবাসস্থলে। হাসপাতালেও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর চাপ। ডেঙ্গুর ধরণ পাল্টানোয় দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। ফলে রোগীদের সুস্থ হতে সময় লাগছে অনন্ত ৭-১০ দিন।

কোরবানির ঈদের প্রায় এক সপ্তাহের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ফাঁকা নগরীতে কিছুটা স্বস্তি এলেও থেমে থেমে বৃষ্টিতে বাসা-বাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু ঝুঁকি।

দুই সিটি করপোরেশনের অনেক এলাকায় এখনো গরুর হাটের ময়লা-আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় সেসব আবর্জনাও এখন মশার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী বলছে গেল এক সপ্তাহের ব্যবধানে মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েকগুণ। জ্বর, ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন অনেকেই।

ঈদের ছুটিতে রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। মুগদা হাসপাতালে গিয়ে দেখা মিলে মান্ডা থেকে আসা রেহানা বেগমের। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছেলের শরীরে যেন আর মশা না বসতে পারে সেজন্য সারাক্ষণ নজরে রাখছেন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ঈদের আগের দিন থেকে অসুস্থ। পরপর দুইজন ডাক্তার দেখাইছি কিন্তু ভালো হয়নি। এজন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি।'

ডেঙ্গু আক্রান্ত ছেলের পাশে মা রেহানা বেগম। ছবি: এখন টিভি

শনির আখড়া থেকে অসুস্থ্য মাকে নিয়ে এসেছেন শিপ্রা দাস নামের একজন। জানালেন গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ছেলে আর এ বছর মা। শিপ্রা দাস বলেন, 'আগের বছর আমার ছেলে আক্রান্ত হয়েছিল। আর এ বছর মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।'

মুগদা হাসপাতালে ঈদের পর থেকে জ্বর, শরীর ব্যথা আর বমি নিয়ে গড়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে অনন্ত ১০ জন করে। যাদের বেশিরভাগই এসেছে ঢাকার ডেঙ্গু উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন বলেন, 'শরীরে কেঁপে কেঁপে জ্বর আসে। এখানের চিকিৎসা ভালো পাওয়ায় এখন ভালো আছি।'

ডেঙ্গুর ধরণ পাল্টানোর রোগীদের শরীরে দেখা দিচ্ছে নানা জটিলতা। ফলে রোগীদের সুস্থ হতে অনন্ত ৭-১০ দিন সময় লাগছে বলে জানান মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'ঈদের সময় অন্য রোগী কমে গেলেও ডেঙ্গু রোগী কমেনি। কারণ তাদের সুস্থ হতে ৮-১০ দিনের মতো সময় লাগছে।'

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪১ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৫ জন।