মৌলভীবাজারে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৮৪ হাজার গবাদিপশু। ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পশু পালন করেছেন অনেক খামারি। তাই লালন-পালন করা পশু নিয়ে এখন খামারিরা ছুটছেন এক হাট থেকে আরেক হাটে।
মাত্র ১ সপ্তাহ সময় আছে পশু কেনাবেচার। তাই অনেক ক্রেতাই হাটে ভিড় করছেন পছন্দের পশু কিনতে। তবে দাম শুনে অনেক ক্রেতাই পরিণত হচ্ছেন দর্শকে। বিক্রেতারা বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এবারে খরচ বেড়েছে দুই থেকে তিন গুণ। তাই দাম নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছেন তারা।
তারা বলেন, সবকিছুর বাজারমূল্য বেশি থাকায় গরুর দাম এবার একটু বেশি। হাটে বেচাকেনা খুব কম হইতেছে। লোকজন অন্যান্য বছরের তুলনায় কম আসতেছে।
এদিকে শহুরে অনেক ক্রেতা এখন গরু কিনতে ভিড় করছেন জেলার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার খামারে। এমনকি অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হয় এসব পশু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবছর জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৮ হাজার ৫০০টি। যেখানে ঘাটতি রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এছাড়া স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে হাট রয়েছে ৩৮টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আশরাফুল আলম খান বলেন, 'অন্য দেশ থেকে যেন গরু না আসতে পারে সেজন্য আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে খামারিরা লাভবান হতে পারবে বলে আশা করছি।'
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে বলেন, 'আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জাল নোট সনাক্ত করতেও আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।'
কোরবানির পশু বিক্রি নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পাশাপাশি হাটে রয়েছে ২৩টি মেডিকেল টিম।