বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে ডিমের চাহিদা তুলনামূলক কম থাকে। যার প্রভাবে কমে দামও।
বর্তমানে গাজীপুরের খামারে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ টাকায়। এতে দেড় মাসের ব্যবধানে দুই থেকে আড়াই টাকা কম বলে জানান পোল্ট্রি খামারিরা।
তাদের দাবি, খাবার, ওষুধ, পানি, বিদ্যুৎ ও শ্রমিকের মজুরিসহ সব মিলিয়ে প্রতি পিস ডিম উৎপাদনে খরচ পড়ছে ১০ টাকা। এছাড়া নানা কারণে খামারে মুরগি মারা যাওয়ায় দ্বিগুণ হচ্ছে লোকসানের পরিমাণ।
একজন খামারি বলেন, ‘প্রতি পিস ডিম আগে বিক্রি করতাম ১০ টাকা, তবে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ৭ টাকা ৫০ পয়সায়।’
খামারিদের অভিযোগ, চাহিদা কমার সুযোগে রমজানের পর বাড়তি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কম দামে ডিম সংগ্রহ করে মজুত করছে।
আরেকজন খামারি বলেন, ‘সিন্ডিকেট এগুলো মজুত করে রাখছে, ঈদের পর যখন দাম বৃদ্ধি পাবে তখন বাজারে ছাড়বে।’
টাঙ্গাইলেও ডিমের দাম কমায় লোকসানের মুখে হাজারো খামারি। সেখানে প্রতি পিস ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১১ টাকা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ টাকায়। পাশাপাশি বিক্রি না হওয়ায় খামারেই নষ্ট হচ্ছে অনেক ডিম।
আক্ষেপ করে একজন খামারি বলেন, ‘ এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেওলিয়া হয়ে যেতে হবে।’
তবে, কমদামের কারণে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়লেও চড়া দামেই ডিম কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খুচরা বাজারে প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, ‘আমাদের কিনতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি। এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তরের নজর দেয়া উচিত।’
একজন ক্রেতা বলেন, ‘সামঞ্জস্য থাকলেই ভালো, যেন আমরা কিনতে পারি আবার ব্যবসায়ীরাও ব্যবসা করতে পারে।’
টাঙ্গাইলের ৩ হাজার ৭৬৭টি খামার থেকে বছরে প্রায় ৮০ কোটি ৫০ হাজার ডিম উৎপাদন হয় বলে জানায় জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়। তবে, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি খামারিদের।