বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়টাকে ধরা হয় ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে। তবে গত কয়েক বছর ধরে সারা বছরই কম-বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বছরজুড়েই রয়েছে মানুষের মাঝে ডেঙ্গু আতঙ্ক।
নগরবাসীদের একজন বলেন, 'সিটি করপোরেশন সবকিছু করতে পারে কিন্তু মশা মারতে পারে না। মশা মারতে আসলেই তাদের তেল-ওষুধ থাকে না। রাতে মশার যন্ত্রণায় আমরা ঘুমাতে পারি না। এটা তাদের দেখার বিষয় না।'
রাস্তার পাশের ময়লাযুক্ত ড্রেন আর নির্মাণাধীন ভবনের নিচে জমে থাকা নর্দমা থেকেই মূলত মশার উৎপত্তি। যেমন রাজধানীর ধোলাইপাড় ও শনির আখড়া এলাকার বিভিন্ন খালে ও নির্মাণাধীন ভবনের নিচে দেখা যায় ময়লা, আবর্জনার স্তূপ। এখানে সন্ধ্যার পরপরই বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। আশেপাশে থাকা বাসিন্দাদের মাঝে রয়েছে আতঙ্ক।
স্থানীয়রা বলেন, মশার যন্ত্রণায় সন্ধ্যার পরে ঘরে থাকা যায় না। মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তারা (সিটি করপোরেশন) মশার ওষুধের বদলে কেরাসিন দিয়ে যায়। আমরা ডেঙ্গুর কাছে খুব অসহায়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, সারাদেশে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ জন। যার মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছে ১৩ জন। দুই সিটি করপোরেশনে ১০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে সারাদেশে সর্বমোট ৩ হাজার ৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার ৩৯.৩ শতাংশ নারী ও ৬০. ৭ শতাংশ পুরুষ। আর এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর দিক থেকে নারীদের সংখ্যা বেশি।
প্রতিদিনই ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার উদ্বেগ নিয়ে দিন পাড় করছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা আরও বৃদ্ধির দাবি জানান তারা।