এবার মৌসুমের আগে থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ। গেল এপ্রিলজুড়ে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তারপর মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়েকদিনের বৃষ্টি, এরপর গেল সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টি। এতে প্রকৃতি কিছুটা স্বস্তি পেলেও নগরবাসীকে শঙ্কা জাগিয়েছে ডেঙ্গুঝুঁকি।
ইদানিং এই রোদ, এই মেঘ জমে বৃষ্টি, যাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সবসময়ই পানি জমে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ঢাকার অনেক ওয়ার্ডের অধীনে থাকা খালে নেই পানির প্রবাহ- নিষ্কাষন ব্যবস্থা তো দূরের কথা। যাতে প্রতিনিয়তই জন্ম নিচ্ছে এডিসের লার্ভা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপ অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০টি ওয়ার্ড রয়েছে ডেঙ্গু উচ্চঝুঁকিতে। তার মধ্যে শনির আখড়ার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড একটি।
শনির আখড়ার মাতুয়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের খালটি মৃধাবাড়ির খাল। এখানে আবর্জনা দেখলেই বোঝা যায় এক জায়গায় আটকে আছে পানি। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা এবং যেখানে এডিসের প্রজননের মোক্ষম ক্ষেত্র।
স্থানীয় একজন বলেন, 'ময়লার কারণে পানি বের হতে পারে না। এতে ডেঙ্গু মশার সৃষ্টি হয়। খালে পানি জমা হয়ে থাকে, পানির কোনো চলাচল নেই। বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। এতে করে বাসায় মশার যন্ত্রণায় থাকা যায় না।'
খালটির পেছনেই ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস, কেন অপরিচ্ছন্ন কাউন্সিলর অফিসের সামনের এই খাল, জিজ্ঞেস করতে ফোন করা হয় কাউন্সিলরকে। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তিনি এখন না পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্মিলিত ব্যাপার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এডিস প্রতিরোধ না করতে পারলে হাজারও চিকিৎসার প্রস্তুতি নিয়ে লাভ নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'মশা যেন না হয় সেটার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি হিসেবে প্রচুর স্যালাইন আছে। সেজন্য এতে বেশি সমস্যা হবে না। তবে মশা যেন না হয় সে দিকেই বেশি নজর দিতে হবে।'
জানুয়ারি থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৮৬৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭৩৯ জন পুরুষ এবং এক হাজার ১৩০ জন নারী। আর এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৬ জন।