শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়।
জানা যায়, নার্সারিটির নাম মায়া নার্সারি। নার্সারির মালিক মফিজুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩৬) অভিযোগ করে বলেন, ‘পূর্ব শুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক সফি মেস্তুরির ছেলে আবদুল হামিদ শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি মসজিদের সামনে ক্যারাম খেলছিলেন। তাদের বাবা মফিজুর রহমান বাধা দিলে তারা তাকে নানা হুমকি দেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে তাকে দেখে নেবার হুমকিও দেন।’
এরপর ওই রাতে নার্সারির প্রায় ৭০ হাজার চারা গাছে আগাছানাশক কেমিক্যাল স্প্রে করে দুর্বৃত্তরা। এতে সব কটি গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। গাছগুলো মরে যায় এবং পাতা ঝরে যায় । এ ঘটনায় তাদের প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৪ বছর ধরে নার্সারি ব্যবসা করে আসছি। প্রতিবছর আমাদের নার্সারি থেকে ৮/১০ লাখ টাকা আয় হয়। এখান থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়েই পরিবার চলে। আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।’
স্থানীয় বাসিন্দা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কারা এ ধরনের কাজ ঘটিয়েছে তা জানি না। তবে যারাই এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করুক, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।’
এ বিষয়ে জানতে আবদুল হামিদের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ‘এ ঘটনায় একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’